সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ভয়াবহ বৃষ্টিপাত ও বন্যায় শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪০ জনে। দেশটির বিভিন্ন জেলা, বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বুনের জেলায় আরও প্রাণহানি ঘটেছে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) পর্বতাঞ্চলে পর্যটন সীমিত করার পরামর্শ জারি করেছে।
এনডিএমএ-এর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্ষাকালের শুরু ২৬ জুন থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৬৪৫। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ, যেখানে প্রাণহানি ৩৮৩। এরপর রয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশ, এখানে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ৪৮ ঘণ্টায় খাইবার পাখতুনখোয়ার স্বাত, বুনের, বাজুর, তোরঘার, মানসেরা, শাংলা এবং বাত্তাগ্রাম জেলায় প্রবল পাহাড়ি স্রোত বহু মানুষকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এনডিএমএ ওই অঞ্চলে ৩১২ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে গিলগিত-বাল্টিস্তান এবং আজাদ কাশ্মীরেও যথাক্রমে ৯ ও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান টুডে জানায়, উদ্ধারকারীরা নৌকা ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলে আটকে পড়া মানুষ ও পর্যটকদের উদ্ধার করতে কাজ করেছেন। অ্যাম্বুল্যান্স মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছে।
এক বিবৃতিতে এনডিএমএ বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বর্ষার তীব্রতার কারণে পর্বতাঞ্চলে পর্যটন সীমিত করার পরামর্শ জারি করেছে।